মানুষের রুপ -ফরহাদ হোসেন
মানুষের রুপ
আমি মানুষ দেখিয়াছি-
তাদের দেহ কাঁটাযুক্ত, বিশাল বিচ্ছু-পোকার বাস।
তাদের ছিলোনা বস্ত্র,ছিলোনা শৃংখলা।
তাদের চোখে হিংস্রতা -অন্ধক্রোধ।
ছিলো রেষারেষির অনল।
তারা ছিলো মাংসাশী পশু।
আমি মানুষ দেখিয়াছি-
অন্যায়ের কোনো কাজ অসম্ভব নয় তাদের দ্বারা।
তিন বছরের শিশু ধর্ষণ, আছে বৃদ্ধা-যুবতী।
অত্যাচার ছিলো তাদের শিরায়-শিরায়।
তারা সমাজের আবর্জনা ছাড়া আর কিছুই নয়।
আমি মানুষ দেখিয়াছি-
তারা মধুর সাথে বিষ মাখিয়ে দেয়।
তারা পশুর খাদ্যে বারুদ রেখে ক্ষতবিক্ষত করে দেহ।
ধ্বংস করে দেয় পৃথিবীর ফুসফুস।
নষ্ট করে দেয় সবুজের বিশালতা।
আমি মানুষ দেখিয়াছি-
তারা পিতৃতুল্য লোকের গালে আঘাত করে।
বস্ত্রহরণ করে লাঞ্চিত করে সুশীলকে।
বৃদ্ধা মাতাকে পদাঘাতে করে গৃহহীন।
পিতাকে করে লাঞ্চিত।
আমি মানুষ দেখিয়াছি-
তারা বর্ণভেদে বিশ্বাসী।
তারা মহামারীতেও মহামারী।
তারা বিপদেও হয় সর্বগ্রাসী।
তারা দুঃসময়েও করে ভাগাভাগি।
আমি মানুষ দেখিয়াছি-
তারা নির্লজ্জ -বেহায়া।
তাদের চর্ম শক্ত গন্ডারের মতো।
তাদের মন নিকৃষ্ট পশুর থেকেও পশু।
তাদের জিহবা কুকুরের থেকেও বেমানান।
আমি মানুষ দেখিয়াছি-
কারণ তারা মানুষের রুপ ধারণ করেছে।
লিখেছেন:
ফরহাদ হোসেন
শিক্ষার্থী
সেন্টার ফর দি রিহেবিটেশন অফ দি প্যারালাইজড
No comments